• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ‘বিরসকাব্য’ হয়ে যায় ‘বউয়ের জ্বালা’! নাটকের উদ্ভট নাম নিয়ে মোশাররফ করিমের হতাশা ইয়াশ রোহানের প্রিয় অভিনেতা সেদিন টি–শার্ট পরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন ইরফান বরাবরই আমরা রবীন্দ্রনাথের কাছে ফিরি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন এমিলি ভেবেছিলাম মরেই যাব, প্রতিদিন ৩০ ওষুধ ও ইনজেকশন নিতে হয়েছে : মৌনি রায় তবে কি অন্তঃসত্ত্বা দীপিকার সংসারে ভাঙনের সুর? সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ দিবস শাহিদ-কারিনার সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ইমতিয়াজ আলি নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ অ্যাম্বুলেন্সে এসে ভোট দিলেন অসুস্থ বৃদ্ধ পাকুন্দিয়ায় জাল ভোট দেওয়ায় তিন জনকে সাজা বগুড়া শহর আবারও ইজিবাইক-অটোরিকশার দখলে সখীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

ভবন মালিক ও ব্যবহারকারীদের শাস্তির পক্ষে মত

বিশেষ প্রতিনিধি রাজধানীতে অনেক ভবনের ছাদে এখন দেদার চলছে ‘রুফটপ রেস্টুরেন্ট’ ব্যবসা। এ ধরনের রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে চায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ ধরনের রেস্তোরাঁ ভবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে সংস্থাটি মনে করছে। গত ২৯ মার্চ রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় রাজউকের তদন্ত কমিটি এ মত দিয়েছে। কমিটি বলছে, বেইলি রোডের ভবনটির নিচতলার চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। ভবনটির মালিক ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিলেও রাজউকের বা অন্য কাউকে তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত করেনি। এ ছাড়া কমিটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার সনদ) ছাড়া কোনো ভবনে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসের মতো সেবা সংযোগ না দেওয়াসহ ছয়টি সুপারিশ করেছে। প্রতিবেদনটি দু-একদিনের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১ মার্চ এই ঘটনায় রাজউক সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই সময়ের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দিতে পারেনি। পরে কমিটি আরও ১০ দিন সময় নেয়। সেই সময় গত বৃহস্পতিবার শেষ হলেও গতকাল পর্যন্ত তারা প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ বলেন, প্রতিবেদন  চূড়ান্ত হয়েছে। যে কোনো সময় রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে তা জমা দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারও গাফিলতি তদন্তে উঠে এসেছে কিনা– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন এটা বলা সম্ভব নয়।কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে কিছু মতামত ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে– রাজধানীর বিপুল সংখ্যক ভবনে কী কার্যক্রম চলে, তা পর্যবেক্ষণে রাখা রাজউকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ওই পরিমাণ জনবল রাজউকের নেই। এ জন্য তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে রাজধানীর ভবনগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করা যেতে পারে। তদারকি বাড়ালে দুর্ঘটনা কমে আসতে পারে।

বেইলি রোডের ভবনটির অবকাঠামোর অনুমোদন ও নির্মাণ-সংক্রান্ত বড় কোনো ত্রুটি তদন্তে পাওয়া যায়নি বলে জানান কমিটির এক সদস্য। তিনি বলেন, ভবনটির পাঁচ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক হিসেবে অনুমোদন ছিল। বাকি তলাগুলো আবাসিক। নির্মাণেরও কোনো ত্রুটি তারা পাননি।  এ জন্য ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও ভবনটির অবকাঠামো শক্তভাবেই টিকে আছে। নির্মাণ ত্রুটি থাকলে ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারত না। তবে তদন্ত কমিটি দেখতে পেয়েছে, সিঁড়ি ধোঁয়ামুক্ত রাখার জন্য ‘ফায়ার ডোর’ থাকার কথা থাকলেও সেটা ছিল না। আর ভবনটিতে ব্যবহারবিধির ব্যাপক ব্যত্যয় ঘটেছে। অকুপেন্সি সার্টিফিকেটও ছিল না। তার পরও সেবা সংস্থার সংযোগগুলো ভবনটিতে দেওয়া হয়েছিল। ফায়ার লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্সও ইস্যু করা হয়েছে।একতলা বেজমেন্টসহ আটতলা ভবনটিতে ছয়টি রেস্তোরাঁ ছিল। এর মধ্যে একটির কোনো কাগজপত্র ছিল না। বাকি পাঁচটির সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স ছিল। আর আট তলায় থাকা এমব্রাসিয়া রেস্টুরেন্ট ও কফিশপের ফায়ার লাইসেন্সও ছিল। অন্যগুলোর ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। নিচতলার একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে তদন্ত কমিটি বলছে। ভবনটিতে গ্যাসের সিলিন্ডারগুলো সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। রেস্তোরাঁগুলোর ভেতরকার নকশা আগুনের তীব্রতা বাড়ানোর বড় কারণ।ভবন মালিকদের সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত থাকতে বললেও তাদের কেউই তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হননি। ভবিষ্যতে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোকে ভবন পরিদর্শনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেছে কমিটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.